
‘ছেলেকে দেখলেই যেন মরে যাবো। মা ছাড়া আমার ছেলেটা কিছু চিনে না। ১১ মাস পর আজকে আমার ছেলে জয়নাল ফিরছে। আমি খুশিতে আত্মহারা। সরকার আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনছে। আজ রোববার (০৯ জুন) মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরা ছেলের অপেক্ষমাণ এক মা’ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে এসব কথা বলছিলেন।
ওই মায়ের নাম রশিদা বেগম। উখিয়ার জালিয়া পালং এলাকা থেকে ছেলেকে নেওয়ার জন্য এসেছেন। গত ১১ মাস আগে মালেশিয়া যাওয়ার পথে মায়ানমারে সেনাদের হাতে বন্দি হন তার ছেলে জয়নাল।
তিনি জানান, ‘ঈদের আগে ছেলের খবর পান তিনি।এরপর থেকে ছেলের জন্য বিভিন্ন সময় খরচের টাকা পাঠাতেন। এ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা তার খরচ হয়েছে। কিছু না খেয়েই ছুটে এসেছি। ছেলেকে পেলেই আমার সব কষ্ট মুছে যাবে।’
কাল থেকে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন জানিয়ে বলেন, কখন সকাল হবে, আমার বুকের ধনকে ফিরে পাবো সেটির অপেক্ষায় ছিলাম। যখনই শুনছি ছেলেকে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাটে আনা হচ্ছে তখনই হন্য হয়ে ছুটে আসি।
সেখানে অপেক্ষারত আরো একজন স্বজনের সাথে কথা হয়। তার নাম রাশেদা আকতার। তিনি জানান, সকালেই ফোন করে জানিয়েছে ভাই পুত মুমিন রশিদ কক্সবাজার আসছে। এই খবরে তারা পরিবারের সবাই ছুটে এসেছেন। সকাল থেকে এখনো খাননি কিছুই। একই এলাকার ৬ জন একসাথে বন্দি হয়েছিলো তারা।
তৃতীয়বারের মতো আজ রবিবার বাংলাদেশ আশ্রিত ১৩৪ মিয়ানমার বিজিপি ও সেনা সদস্য মিয়ানমার ফিরে যাচ্ছে। একই সাথে মায়ানমারে কারাভোগ করা ৪৫ জন বাংলাদেশি ফিরে আসছে বাংলাদেশে।
আজ সকালে দুই দেশের কর্মকর্তারা কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাটে উপস্থিত হন তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জন্য।