সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল পাল্টানোর মামলা স্থগিত করেছেন জর্জিয়ার আপিল আদালত। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনের ফল পাল্টানোর ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বুধবার (০৫ জুন) এই মামলা স্থগিত করে রায় দেওয়া হয়।
জর্জিয়ার ফুল্টন কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিস ট্রাম্প ও তার কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন এবং মামলায় কাজ করার জন্য নেথান ওয়েডকে স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছিলেন।
কিন্তু গত মার্চ মাসে ট্রাম্পের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, ওয়েডের সঙ্গে উইলিসের ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে এই মামলা থেকে উইলিসকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তারা।
তবে ফুল্টন কাউন্টির সুপিরিয়র কোর্ট জাজ স্কট ম্যাকাফি রায় দিয়ে বলেছিলেন, উইলিস মামলা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য ম্যাকাফি এও বলেন, চাইলে ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে জর্জিয়ার আপিল আদালতে যেতে পারেন। এই আপিল আদালতই বুধবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন। কারণ, এই সময়ে আপিল আদালত ম্যাকাফির দেওয়া রায় রিভিউ করতে চেয়েছেন।
আপিল আদালত যুক্তিতর্ক শোনার জন্য ৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। এরপর রায় দেওয়ার জন্য আদালত আগামী বছরের মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় পাবেন। তার আগে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে।অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে এই মামলার রায় হচ্ছে না।
এর আগে ৩০ মে নিউ ইয়র্কের এক আদালত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে ফৌজদারি আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। ১১ জুলাই সাজা ঘোষণা করা হবে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। ব্যবসার নথিপত্র গোপন করে স্টর্মি ড্যানিয়েল্স নামের সাবেক এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্প অন্যায় করেছেন বলে জুরির সব সদস্য একযোগে তাকে দোষী হিসেবে গণ্য করেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্প এমন কুকীর্তি করেছিলেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল।
খবর: রয়টার্স