
গবাদিপশু আমদানি করা হবে না, আমদানি করতে অনুমতিও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক আল্ট্রা হাই টেম্পারেচার দুধ উৎপাদন ফ্যাক্টরির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে দুধ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছি। দুধ উৎপাদনে কিছুটা যে ঘাটতি আছে তা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মন্ত্রণালয়ের কাজে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন ঠিক একইভাবে তিনি খামারিদের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগকেও উৎসাহ দিয়ে থাকেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের বাঙালি জনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত প্রচলিত একটি উক্তি আছে। আর তা হলো আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। আর এই দুধে ভাতে থাকার জন্য এধরনের উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
কোরবানির গরু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের কুরবানির পশু অনেক বেশি রয়েছে। সুতরাং কুরবানিতে পশুর কোন সংকট হবে না।
গবাদিপশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জবেহ করার জন্য কোনো গবাদিপশু আমদানি করা হবে না এবং আমদানি করার অনুমতিও দেয়া হবে না। সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষীদের চোখের আড়ালে হয়তো কিছু গরু এসে থাকতে পারে। তবে এটা নিয়ে সীমান্তরক্ষীরা আরও যেন তৎপর থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
গাজীপুর এলাকায় পশু খাদ্য হিসেবে গরুকে কারখানার উচ্ছিষ্ট তুলা খাওয়ানো নিয়ে অপর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।