ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বা শেষ ধাপে বুধবার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। এরপর ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
খুলনা
এ ধাপে খুলনায় তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার দাকোপ উপজেলায় আবুল হোসেন ৩৬ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় মো. মোতাহার হোসেন ৩৩ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া রূপসা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে খুলনার তিটি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার তিনটি উপজেলার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা বিনতে ওহাব। উজিরপুরে চেয়ারম্যান হয়েছেন হাফিজুর রহমান ইকবাল এবং বানারীপাড়ায় গোলাম ফারুক। বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। উজিরপুর উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান ইকবাল। বানারীপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের গোলাম ফারুক ৩৪ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের মো. রোকনুজ্জামান রেন্টু পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট। এছাড়া চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী মাহমুদুল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১ ভোট।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
নেত্রকোণা
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া জয়ী হয়েছেন। তিনি ঘোরা প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৭০টি ভোট পেয়েছেন। ভোটগণনা শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের সাক্ষর করা প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল বার্তা প্রেরণ শিট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রংপুর
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট। ভোটগণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শাহানাজ বেগম।
ফেনী
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট। যশোর জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ও রায়গঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কামারখন্দ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম রেজা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।
অন্যদিকে রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে গোলাম হোসেন শুভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার মো. ইমরান হোসেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১ ভোট। রাতে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
অন্যদিকে ধুনটে ৪০ হাজার ৬০ ভোটে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬২ ভোট। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আশিক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
ফরিদপুর
চতুর্থ ধাপে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোয়ালমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ. মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান লিটু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট। অন্যদিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাজী মনিরুল হক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে.এম.জাহিদুল হাসান পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৮ ভোট।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারিভাবে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি প্রতীক নিয়ে ৬২ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খাজে আহ্মেদ মজুমদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে ৫৫ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আকবর হোসেন মনির। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যামেরা প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম।
কচুয়া উপজেলায় টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাহবুব আলম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ৪৪ হাজার ৮৯৯ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ জালাল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জোৎস্না আক্তার। অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কুমিল্লা ও রিটার্নিং অফিসার কচুয়া এবং ফরিদগঞ্জ মো. মোজাম্মেল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলা বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাজিতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রেজাউল হক কাজল। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১১২ ভোট। কুলিয়ারচর উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হোসেন লিটন আগেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া ভৈরবে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন আবুল মনসুর (কাপ পিরিচ প্রতীক)। ৯১টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২০০ ভোট। সহিংসতার কারণে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৬।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কেএম গিয়াস উদ্দিন, মির্জাপুরে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও সখীপুরে মুহাম্মদ আবু সাইদ মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী অলিদ ইসলাম পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চার উপজেলার ৩৬৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসব উপজেলায় ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গোপালপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আগেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বতীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন হাফিজুল ইসলাম প্রমানিক। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭১ হাজার ১১৬ ভোট। ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আতাউর রহমান মিল্টন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট। নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট।
সুনামগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাদাত মান্নান অভি। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯শ ৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোশারফ হোসেন জাকির মাইক প্রতীকে ৩৪ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকা মহির ফুটবল প্রতীকে ২৩ হাজার ৪ শত ৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা।
বরগুনা
বরগুনার তালতলী উপজেলায় দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুজ্জামান মিন্টু। আনারস প্রতীকের তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট। এছাড়া আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।