বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নেপাল ও নেদারল্যান্ড। ডালাসের গ্রান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে বিলম্বিত হয় এই ম্যাচের টস।
টস জিতেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। তিনি ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে মাঠ ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয় আরও আধাঘণ্টা। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর শুরু হয় ম্যাচ।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে শুরু থেকেই ধুঁকছিল নেপাল। ১৩.২ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই হারিয়ে বসেছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে নেপালকে টানেন টেল এন্ডাররা। কিন্তু বেশিদূর যায়নি দলীয় সংগ্রহ। ১৯.২ ওভারে নেপাল অলআউট হয় ১০৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনায়াস জয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল নেদারল্যান্ডস।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ডাচদের জয়ের ভিত গড়ে দেন মূলত বোলাররা। নেপালকে তারা গুটিয়ে দেয় স্রেফ ১০৬ রানে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফন বিক ও টিম প্রিঙ্গল। পল ফন মেকেরেন ও বাস ডে লেডের শিকার ২টি করে। মাক্স ও’ডাওডের দায়িত্বশীল ইনিংসে ডাচরা জিতে যায় ৮ বল হাতে রেখে। ৪৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। ২০ রানে ৩ শিকার ধরা বাঁহাতি স্পিনার প্রিঙ্গল জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
২০১৪ সালের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে নেপাল। টস করতে নেমে দারুণ এক কীর্তি গড়েন তাদের অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল। বিশ ওভারের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক এখন তিনি (২১ বছর ২৭৬ দিন)। নতুন বলে পেসারদের জন্য মুভমেন্ট মিলেছে বেশ। বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় নেপাল। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তারা করে ২৯ রান। অধিনায়ক রোহিত ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি সেভাবে। ৩৭ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। আর কেউ ১৫ রান পর্যন্তও যেতে পারেননি। তাদের ইনিংস থামে ৪ বল বাকি থাকতে।
লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে মাইকেল লেভিটকে হারায় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ও’ডাওড ও ভিক্রাম সিং। ভিক্রাম ২৮ বলে করেন ২২ রান। চারে নেমে সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট রান আউটে বিদায় নেন ১৪ রান করে। দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও। তখন ডাচদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮০, ২৮ বলে দরকার ২৭ রান। ১৭ বলে দরকার যখন ১৮, এক প্রান্ত আগলে রাখা ও’ডাওডকে ফেরানোর সুযোগ পায় নেপাল, কিন্তু ক্যাচ ফেলেন অধিনায়ক রোহিত। জীবন পেয়ে ডে লেডেকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ও’ডাওড।