নড়াইলের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখের নেতৃত্বে ২০-৩০জন সন্ত্রাসী সহিংসতা চালায়।
রোববার (২জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে গোবরা গ্রামের নিউটন গাজীর প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। গাড়ির পোড়ানোর পাশাপাশি নিউটনের বৃদ্ধ পিতা আবুল হোসেন গাজী (৬৮), স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৫),শিশু পুত্র সাব্বির গাজী (১০) কে বেধড়ক মারপিট করে আহত করেছে। আহতদের উদ্বার করে রাতে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
গত ২১ মে অনুষ্ঠিত নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে নিউটন গাজী কাজ করায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে নিউটনের পিতা আবুল হোসেন গাজী অভিযোগ করেন। সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ কাজ করেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফানের পক্ষে। সর্বশেষ এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে উঠে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নিউটন গাজীকে হত্যা,চিরতরে পঙ্গু,চোখ উপড়ে ফেলানোর হুমকি দিয়েছিলেন উজ্জ্বল ও তাঁর অনুসারীরা।
নিউটন গাজীর স্ত্রী নাসরিন বেগম বলেন,রাত ১২টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাঁর অনুসারী রাজু বিশ্বাস, রিপন শেখ,মিটুল শেখ,টুটুল শেখ, সামাদ,সোহাগ, অয়ন শেখ,ইমন, জাহিদ,আব্দুর রাজ্জাক,রাশেদ, রবিউল, পিয়াসসহ ২০-৩০জন লোক আমাদের বাড়ির গ্যারেজে রাখা প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগ করে।
পরে তারা বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। স্বামী অন্য বাড়িতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। স্বামীকে না পেয়ে আমার শিশু সন্তান ও বৃদ্ধ শ্বশুর কে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় আমাকে ও মারপিট করে একভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ নগত লক্ষাধিক টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ বলেন, আমি এলাকার বাইরে রয়েছি। ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার লোকজন জড়িত নয়। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।