পুবের বিলের পৈতৃক পতিত জমিতে দ্বিতীয় দফা উৎপাদিত বোরো ধান বিক্রি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের কাছে তিনি নিজ নামে তিন মেট্রিক টন (৩০০০ কেজি) ধান সরকার নির্ধারিত ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। ধান বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার টাকা। এছাড়া এ জমিতে উৎপাদিত আরও চার মেট্রিক টন ধান দুই প্রতিবেশীর নামে খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়েছে। এ সাত মেট্রিক টন মোট দুই লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮শে মে) প্রধানমন্ত্রীর ধান সংগ্রহ করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভোটার হওয়ার সময় স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার এই বাড়ির ঠিকানাই দিয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস এসব জানান, লটারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। এছাড়া একই পদ্ধতিতে প্রতিবেশী মো. নওশের আলীর নামে প্রধানমন্ত্রীর জমির তিন মেট্রিক টন ও মো. ইস্রাফিলের নামে এক মেট্রিক টন ধান খাদ্য গুদামে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩ টন ধানের ওজন মান ও মজুত সনদ প্রদান করা হয়। ওজন মান ও মজুত মান সনদের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী গুদামের কাছে বোরো ধান বিক্রি করেছেন। ৭৫ বস্তায় ৩,০০০ কেজি ধান তিনি সরকারি ধার্য করা মূল্য ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। এতে তিনি ৯৬,০০০ টাকা পেয়েছেন। সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে প্রধানমন্ত্রীর বিক্রি করা ধানের পরিমাণ ৮০.৩৯ মণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “প্রধানমন্ত্রী তার পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করছেন। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উপজেলা খাদ্য গুদাম এই ধান ক্রয় করেছে।” গত বছরও প্রধানমন্ত্রী খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেছিলেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে ধান বিক্রি করলেন। গত বছর বোরো মৌসুমে তিনি প্রথমবারের মতো ধান বিক্রি করেন।