প্রাথমিক শিক্ষাকে স্মার্ট শিক্ষায় উন্নত করতে হবে

প্রাথমিক শিক্ষাকে আধুনিক ও প্রযুক্তি সম্পন্ন স্মার্ট শিক্ষায় উন্নত করতে হবে বলে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এটা সবারই জানা, তেমনিই শিক্ষকতা একটা মহান পেশা। আমার পিতা এই পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন, আমিও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছি। সেজন্য এই পেশাটাকে সম্মান করি। শিক্ষা দস্যুতা, সকল প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকার পরপর চারবার সরকার গঠন করেছে। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষায় উন্নত করতে যা যা করা দরকার সেটা করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে সাতক্ষীরার পিটিআই সংলগ্ন মাঠে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত সকল কর্মকর্তাকে আধুনিক ও প্রযুক্তি সম্পন্ন স্মার্ট হতে হবে। বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ২০৪১ সালে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার। বর্তমান সরকারের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সারা দেশে লাখো সৈনিক কাজ করছেন।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিতে পরিনত করার প্রয়াস আপনারা যারা করছেন বা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন তারা সাবধান হয়ে যায়।কোন ভাবেই সেটা বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষকদের সঠিক সময়ে স্কুলে যাবেন, যথাযথ ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষক যেই হোন ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। তাতে কোন পক্ষের উপকারে আসবে না বলে মনে করি।
সেঁজুতি আরও বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্নীতি একটি প্রতিষ্ঠান, একটি দেশকে দুর্বল করে ফেলে।সেজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন বরাদ্দগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে।প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকবে।খেলাধুলার পরিবেশও থাকবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও এগিয়ে যাবে।খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের মৃধা, মন ও শরীরের বিকাশ ঘটে।সেজন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলার সামগ্রীগুলো স্কুলের মধ্যে আটকে না রেখে সেগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দিতে হবে। খেলার সামগ্রীগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছে কিনা সেটা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও তদারকি করতে হবে।তাহলে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাও শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হবে।সরকার একসাথে ২৬ হাজার বেসরকারি স্কুলকে সরকারি করেছে। তেমনি চলতি বছরে সারাদেশে তিন ধাপে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। যা অন্যকোন সরকারের আমলে হয়েছে বলে মনে হয় না।সেজন্যতো বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বৃষ্ণ পদ পাল’র সভাপতিত্বে ও কলারোয়া উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, মোল্ল্যা শহিদুজ্জামান।এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি শিক্ষা সপ্তাহে সাতক্ষীরার সাতটা উপজেলা থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা অফিসের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন এবং সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
শেয়ার করুন:

Recommended For You