ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সীমিত পরিসরে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ভোট ৩০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে এর কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী ছিলেন। ইভিএমে ১৬ উপজেলায় বাকিগুলো ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক তৎপর ছিল।
তিনি বলেন, খুবই সীমিত পরিসরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ভোট কারচুপির চেষ্টায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। একজন প্রিজাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
এবারের নির্বাচনেও অধিকাংশ উপজেলার ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটার খরা। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রাজশাহী, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, রংপুর, নীলফামারী, কুষ্টিয়া, পাবনা, নোয়াখালী, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, জামালপুরসহ অধিকাংশ জেলার ভোটকেন্দ্রে সারাদিন ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সোমবার ১৯টি এবং মঙ্গলবার ৩টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে কমিশন। ফলে বুধবার ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।