ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি যাতে একটি কার্যকর ফলাফল বয়ে আনে তার জন্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, তার দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তবে সেটি অবশ্যই একটি ‘উপযোগী মুহূর্তে’। আমি শুধু আবেগতাড়িত হয়ে স্বীকৃতি দেব না।
মঙ্গলবার জার্মানিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইমানুয়েল ম্যাক্রন একথা বলেন।
আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারাও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি উপযোগী সময়ের অপেক্ষা করছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ফ্রান্সের জন্য কোনো লুকোচুরি নেই। আমি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আমি মনে করি এই স্বীকৃতি একটি কার্যকর মুহূর্তে হতে হবে।
ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাতে আক্রান্ত বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি রাফাহ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, রাফাহতে ইসরায়েলি অপারেশন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ম্যাক্রন বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে অবশ্যই তাদের উচিত আন্তর্জাতিক এবং মানবিক আইনকে সম্মান করা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিন বিষয়ে একটি জরুরি সভা ডাকতে জাতিসংঘে অনুরোধ জানিয়েছে আলজেরিয়া। আমরা এতে সমর্থন জানাই। আমরা আলজেরিয়া এবং নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের সমস্ত অংশীদারদের সাঙ্গে একটি যৌথ রেজুলেশনে কাজ করছি যা মানবিক জরুরিতা, যুদ্ধবিরতির শর্ত এবং গাজায় জাতিসংঘের একটি স্পষ্ট ম্যান্ডেট প্রকাশ করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে কাজ করতে প্রস্তুত ফ্রান্স, আর এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো যুদ্ধবিরতি।