ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে জলোচ্ছ্বাসসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির। ঝড়ের কবলে পড়ে হরিণসহ মারা গেছে অন্যান্য বন্যপ্রাণী। সোমবার বিকেলে বনের কটকা, দুবলারচর এলাকা থেকে ৩৯টি মৃত উদ্ধার করেছে বন-বিভাগ। এছাড়াও রেমালের প্রভাবে বনের ভিতরে বেশকয়েকটি টহল ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেইসাথে বনের ভেতরে প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি মিষ্টি পানির পুকুরে লবণ পানি ঢুকে পুকুরের পানি নষ্ট হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো জানান,রোববার বিকেল থেকে একটানা ২০ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার বিকেলে সুন্দরবন থেকে ৩৯ টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়। তবে হরিণের পাশাপাশি আরও বন্যপ্রাণী মারা যেতে পারে। সেসব মৃত প্রাণীর খোঁজে বনরক্ষীরা তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি বন-বিভাগের বিভিন্ন বন অফিসসহ টহল বোট, টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মিঠাপানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের ৬০ থেকে ৭০টি মিঠাপানির পুকুরে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন কর্মীদের পাশাপাশি বাঘ, হরিণসহ বন্য প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। সুন্দরবনের বন্য প্রাণীরা অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়ে মারা যাওয়ার খবরও মিলেছে। তবে পুরো সুন্দরবনের গাছপালাসহ কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হতে সময়ের প্রয়োজন।