‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ পতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১ জুন শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় ফেনী জেলায় ২ লাখ ৫৬ হাজার ২০৯ জন জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার (২৮ মে) ফেনী সিভিল সার্জন অফিসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলন সিভিল সার্জন জানান, ০১ জুন শনিবার দিনব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সি ৩২ হাজার ৩শ ৭১ জন শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে দেয়া তথ্য মতে, ০১ জুন শনিবার দিনব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে এবার ফেনী জেলায় মোট অস্থায়ী ১ হাজার ১৩০ টি, স্থায়ী ৮ টি, ভ্রাম্যমাণ ৪ টি কেন্দ্রসহ মোট ১১৪২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৬ শ ৪৯ জন শিশুকে নীল রঙ্গের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন শিশুকে লাল রঙ্গের ক্যাপসুলসহ সর্বমোট ২ লাখ ৫৬ হাজার ২০৯ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে ফেনীর সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী সব মিলিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ জন এই ক্যাম্পেইনে কাজ করবে। সিভিল সার্জন বলেন, ফেনীর সকল শিশুকে এটি খাওয়াতে পারলে ক্যাম্পেইন সফল হবে।
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে চোখের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। রাতকানা, কনজাংটিভার শুষ্কতা, বিটট স্পট, কর্নিয়ার শুষ্কতা, কর্নিয়ার ক্ষতসহ নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করা না হলে মানুষ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। তিনি বলেন, ভিটামিন এ শুধুমাত্র রাতকানা রোগ প্রতিরোধ নয় বরং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসময় সকল শিশুকে নিটকস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। সিভিল সার্জন কার্যলয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল হাসান, ডা. মির্জা মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।