রিমাল তাণ্ডবে লক্ষ্মীপুরে বেড়ীবাঁধ ও বসতঘর বিধ্বস্ত, মৃত্যু ১

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরে। জোয়ারের পানিতে জেলার কমলনগর নাসিরগঞ্জ এলাকায় ১০০ মিটারেরও বেশি বেড়ীবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে করে এ এলাকায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চাঙ্গিরগাঁও সংসার আলি বেপারি বাড়িতে নিস্পা নামের ৭ বছরের এক মেয়ের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ ফুট জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে উপকূলীয় এলাকার ৬৫ থেকে ৭০ হাজার মানুষ হাটু পানিতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
এদিকে তীব্র বাতাসে জেলার কমলনগরের মতির হাট, লুধুয়া, কালকিনি, সাহেবের হাট ও রামগতির চরগাজীসহ বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (লূধুয়া কওমী মাদ্রাসা) বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙে উপড়ে গেছে, এসব গাছ বিদ্যুতের খুঁটি ও মানুষের ঘরবাড়িতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে করে জেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এছাড়া জেলায় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে সংসার আলি বেপারি বাড়ির লুতা বেপারীর ঘর ভেঙ্গে পড়ে। ঘরের ভিতর থাকা লুতা বেপারীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬৫) ও তার নাতনি নিস্পা (৭) আটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই নিস্পা মৃত্যুবরণ করেন এবং হোসনে আরা বেগমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে লুতা বেপারীর ঘর ভেঙ্গে হোসনে আরা বেগম ও নিস্পা নামের এক শিশু আটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই নিস্পা মৃত্যুবরণ করেন এবং তার নানী হোসনে আরা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You