বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ রবিবার দিবাগত রাতে উপকূল অতিক্রম করেছে। এতে ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৭ মে) জেলা প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় বিদ্যমান ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। তন্মধ্যে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৭৮৭ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আশ্রিতদের মাঝে রান্না করা খাবারসহ শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পরিবেশন করা হয়েছে। ৯১টি মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলায় গাছের ডাল পড়ে মহেশখালী কুতুবজুম ইউনিয়নে ঘটিভাঙ্গা ডেম্বনিপাড়া এলাকায় আবুল ফয়েজের ছেলে আবুল কালাম (৭৫) নামক এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এবং মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় মাটির বাঁধ ভেঙ্গে সমুদ্রের জোয়ারের পানি
লোকালয়ে প্রবেশ করেছে এবং ভাটা হওয়ার সাথে সাথে লোকালয়ের পানি নেমে গিয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ৬৩ মে.টন চাল সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যা বিতরণ চলমান আছে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া ১৫৩টি কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় সতর্ক সংকেত তুলে নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীগণ স্ব স্ব গৃহে ফিরে
যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা ঘরগুলোর পরিবারকে পূনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলা, উপজেলা, স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পেরে তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাড়াদান ও সমন্বয়ের জন্য ২৫ মে বিকাল ৫ টায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই তারিখ রাত ৮ টার মধ্যে সকল উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যা ২৪ ঘন্টা খোলা আছে।