কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চৌমহনী বাজারে ইজারাদারের দৌরাত্ম্যে পথচারী,ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মহুতে রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষ ঘটতে পারে। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে সরকারী কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাট শেডটিতে দোকান বা মাছ ব্যবসায়ীদেরকে না বসিয়ে চৌমোড়ে ও রাস্তায় চটি দোকান ও মাছ বাজার বসিছেন।
অপর দিকে হাট শেডে মোটর সাইকেল গ্যারেজ করে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদার মহসীন আলী। ফলে রাস্তায় ও চৌমোড়ে প্রতিনিয়িত যানযট লেগে থাকে দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীরাদের। ব্যসায়ীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার্থে তৈরী করা হাট শেডটি ব্যববহার না করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
অনুুমোদিতহারে টোল আদায়ের তালিকা প্রকাশ্য জায়গায় না থাকায় নিজের ইচ্ছেমত দোকানদার দের কাছ থেকে নিজের ইচ্ছে মোতন টোল আদায় করছেন। ঝাড়ু–দারের বেতন ইজারাদারকে দেয়ার শর্ত থাকলেও তিনি তা করেন না উল্টো ঝাড়ু–দার দিয়ে টোল আদায় করেন। স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সরকারী দিবস পালন, মিটিং সালিশ করা, পথচারী ও বাজারে আসা মানুষের বসার জন্য সরকারী ব্যয়ে নির্মিত ইট দিয়ে বাঁধাই জায়গায় (মুক্তমঞ্চ) মোটা অংকের টাকা নিয়ে দোকান বসিয়ে দিয়েছেন। ইট দিয়ে বাঁধাই করা মানুষের বসার জায়গাটি এখন বেদখল হয়েছে। বাজার বণিক সমিতির কমিটিকেও তোয়াক্কা করছেন না ইজারাদার। এতে ইজারাদারের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীসহ ক্রেতারা ।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ বাজার বণিক সমিতির কমিটির পক্ষ হতে ইট দিয়ে বাঁধাই করা মানুষের বসার জায়গা মুক্তমঞ্চ হতে অবৈধ দখলমুক্ত করতে আবেদন করার চার মাসেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি উপজেলা প্রশাসন। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে পথচারী, ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে।
এ ব্যাপারে বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনাক্রমে সর্বসম্মতিভাবে মাছের দোকান হাটশেডে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইজারাদার এ সিদ্ধান্তে কাজ করেন নাই। তিনি রাস্তার পাশে দোকান পাট বসিয়ে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, সরকারী ব্যয়ে নির্মিত ইট দিয়ে বাঁধাই জায়গায় (মুক্তমঞ্চ) ইজারাদার দোকান বসিয়ে দেয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে আমি গত ৪ এপ্রিল উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমি প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি অতি দ্রুত সরকারী ব্যয়ে নির্মিত মানুষের বসার জন্য ইট দিয়ে বাঁধাই জায়গা (মুক্তমঞ্চ) হতে অবৈধ দোকান সরিয়ে নেয়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীসহ সাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইজারাদার মহসীন আলী স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে হাটশেডে মোটর সাইকেল গ্যারেজ করে হাট শেড থাকা সত্বেও তিনি মাছ বাজার রাস্তায় বসিয়ে ফায়দা লুটছেন। হাট শেডে গরু জবাই করে ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ দূষিত করছেন।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঐতিহ্যবাহী বাজারে আগত ক্রেতা সাধারণ মানুষের কাছে ও মোটর সাইকেল গ্যারেজ থেকে অবৈধভাবে টোল আদায় করছেন ইজারাদার । এ নিয়ে প্রতিদিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে উক্ত বাজারে। এ ব্যাপারে জানতে ইজারদার মহসীন আলীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নই।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান জানান,ওই বাজারের জায়গা উদ্ধারের জন্য নথিপত্র জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠানো হয়েছে।