বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের জরুরি তথ্য সংগ্রহ এবং বিতরণের জন্য কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থাকলেও তা পালন করেনি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। এর ফলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কোন তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।
দুর্যোগের কারণে সকল কর্মকর্তা – কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেন সরকার কিন্তু এ আদেশ উপেক্ষা করে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষকে কোন কিছু না জানিয়ে কর্মস্হলে না থেকে ঢাকায় অবস্হান করছেন বলে নিশ্চিত করেন ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পা । তিনি বলেন দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
জানাগেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে আঘাত হানতে পারে। এ জন্য সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়। সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ,পূর্বাভাস ও জলোচ্ছ্বাস সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করে উপজেলা প্রশাসন।
পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানকে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ও তার দপ্তরের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ সিকদারকে। তবে উপজেলা প্রকৌশলীসহ তার হিসাব সহকারী মাসুদ রবিবার অফিসেই আসেনি। কন্ট্রোল রুমে দেওয়া নাম্বারে একাধিকবার তথ্য জানার জন্য ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন ব্যহত হয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনের ব্যক্তিগত মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর জন্য সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি যদি স্টেশনে না থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিলো উপজেলা প্রকৌশলীকে কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করেনি। আমাকে অবহিত না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন তার দপ্তরের রাজস্ব খাতের অন্যান্য কর্মকর্তাও স্টেশনে ছিলেন না। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি ঢাকায় আছেন। সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার কারণে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে।