ঘূর্ণিঝড় রিমালের দিন দুপুর গড়াতেই কক্সবাজার শহরে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বেড়েছে সমুদ্রের পানিও। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহরের নিম্নাঞ্চল। এসময় জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়া সমিতি পাড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। নাজিরারটেক বাসিন্না পাড়া থেকে আসা এমনই একজন ষাটোর্ধ্ব জয়নাল আবেদীন ৪ টি ছাগলসহ আশ্রয়ে এসেছেন। তিনি জানান, নাজিরারটেকে ঘরবাড়িতে পানি উঠায় ছাগলগুলোকে হিয়ে আশ্রয়ে এসেছেন। এছাড়াও আরও মানুষজন আশ্রয় নিতে আসতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি ছাড়াও বেলা ২ টার সময় পৌরপ্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে আরো কয়েকটি পরিবার। সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক ও বাসিন্না পাড়া থেকে ৪ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পানি উঠে বাড়ি তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত আরফা বেগম ও জানান, ১২ টা থেকে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তবে দুপুর ২ টা বেজে গেলেও তাদের জন্য এখনো কোন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। এছাড়াও সৈকতে ঘোড়া ভাড়া দিয়ে জীবিকা চালানো কয়েকজনও ঘোড়া নিয়ে আশ্রয়ে নিয়েছেন।
তাদের একজন মোহাম্মদ শুক্কুর জানিয়েছেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সমিতি পাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ৪টি ঘোড়াসহ তারা আশ্রয়েকেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
ওদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।