বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে কক্সবাজারে ১০ নং বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর সর্বশেষ বুলেটিন বলছে,প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে।
ভূমিধস প্রবণ এলাকা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ উখিয়া-টেকনাফ এর রোহিঙ্গাক্যাম্পগুলো, পাহাড় বেষ্টিত এই অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লক্ষের ও অধিক রোহিঙ্গার বসবাস। এখানকার ঘরগুলো ত্রিপল,বাঁশের কাঠামোতে তৈরি, ক্ষতি কমাতে ইতিমধ্যে ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে করা হচ্ছে মাইকিং।
সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয় – ভীতির সঞ্চয় করছে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে। উখিয়া ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ” আমার বাড়ি পাহাড়ের নিচে, আগেও বৃষ্টির কারণে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো৷ মাইকিং চলছে, ভয়ে আছি জানি না কি হবে?”
এদিকে রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা দেখা গেছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ মোকাবেলার অংশ হিসেবে ৩ হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কাজ করছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, ” ক্যাম্প প্রশাসন ও কর্মরত সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বিত চেষ্টায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”
গেল বছর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা’র সময় ভূমিধসের ঝুঁকিতে চিহ্নিত করা হয়েছিলো প্রায় ২১ হাজার ঘর। ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত একটি সংস্থার তথ্য বলছে, রিমাল এর কারণে সম্ভাব্য ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা ঘর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ঘর।