ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেই বরগুনায় চলছে খেয়া পারাপার। কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পায়রা ও বিষখালি নদীতে খেয়া পারাপার হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে ) দুপুরের দিকে সরেজমিনে বরগুনার বরইতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বরইতলা-বাইনচটকি খেয়াগুলোতে কোনো রকম সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে খেয়াগুলো। এ বিষয়ে বরইতলা-বাইনচটকি (বিষখালি নদী) ইজারাদার মো. তফিক আহমেদ পারভেজ জানায়, যাত্রীদের সেবার কথা বিবেচনা করে আমরা খেয়া পারাপার চালু রেখেছি। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে পারাপার বন্ধ করব।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
যাত্রীদের সুরক্ষা বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমাদের প্রতিটি ট্রলারে লাইভ জ্যাকেট থাকা সত্ত্বেও যাত্রীরা না পরলে আমরা কী করতে পারি। বরগুনার আমতলি-পুরাকাটা (পায়রা নদী) এবং বরইতলা-বাইনচটকি (বিষখালি নদী) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
আরও পড়ুন চট্টগ্রামে ৯নং মহাবিপদ সংকেত, প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম
খেয়ার যাত্রী মিজান মৃধা বলেন, ‘প্রতিদিন খেয়ায় পারাপার হচ্ছি। নদীতে যখন ঝড় থাকে তখন পারাপারে ভয় লাগে। তারপরেও যেতে হবে,জেলা শহরে কাজে গিয়েছিলাম এখন বাড়ি ফিরছি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।
ডব্লিউ জি /এমএলএইচ