ইবিতে ছয় কোটি টাকা ভাগবাঁটোয়ারা: শাস্তি নির্ধারণে কমিটি গঠন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সর্বশেষ চলতি বিল (৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা) প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের গরমিল ও টাকা ভাগবাটোয়ারার অভিযোগে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নির্ধারণ করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে শাস্তি নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
 শনিবার (২৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সর্বশেষ চলতি বিল প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের গরমিল সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি আলোকে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা নেই।
তাই শাস্তি নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য সিন্ডিকেটের ২৬৩ তম সভার ৫ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবকে আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন- জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে একটি ‘উড়ো চিঠি’ পাঠনো হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উড়ো চিঠিতে বলা হয়, মেগাপ্রকল্পের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম বিলে মোট ৬ কোটির বেশি টাকার ভুয়া বিল করা হয়েছে।  বিলের হিসাব ও সংশ্লিষ্ট নথি উড়ো চিঠিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই চিঠিতে আর্থিক সুবিধাভোগী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমানে পদধারী ছয় জন নেতার নাম উঠে এসেছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You