রেমাল আতংকে উপকূলবাসী, সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ

বরগুনার পায়রা, বুড়িশ্বর নদীর বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এতে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ লবণপানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো। পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় উপকূলবাসীর। বন্যার কথা শুনলেই আশ্রয় নিতে হয় সাইক্লোন সেল্টারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেয়ার আগেই ‘রেমাল’ আতঙ্কে উপকূলবাসী।
শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এ সময় উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।তাই বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপকূলবাসী।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/ অনুসরণ করুন।

২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে বরগুনার উপকূলীয়  এলাকাগুলোর ক্ষতি হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান,পায়রা,বুড়িশ্বরনদীতে জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে চলে গেছে। বাঁধের মাত্র দু-তিন ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধে ধস শুরু হবে। এতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। ছোটবেলা থেকে দুর্যোগ মোকাবেলা করে আসছি। বন্যা আসার আগেই আমাদেরকে ছুড়তে হয় নিরাপদ স্থানে। আমরা চাই আমাদের ভেরিবাদ গুলো টেকসইভাবে করা হোক।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বেড়িবাধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিবছর মেরামত করা হয়। স্থায়ী বেরিবাদের জন্য, ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প প্লানিং কমিশনের কাছে আছে। প্রকল্পটি পাশ হলে স্থায়ী বেরিবাধ নির্মাণ করা হবে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You