ক্যালসিয়াম ঘাটতি মোকাবেলায় প্রয়োজন গণসচেতনতা

ক্যালসিয়াম ঘাটতি মোকাবেলা এবং ঘাটতি থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বিষয়ে প্রয়োজন গণসচেতনতা। এ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবাবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান খান, ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ সালেক এবং নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহমীদ ওয়াসিক আলী।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় অস্টিওপোরোসিস রোগের ব্যবস্থাপনায় ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে স্যানডোক্যালের সাফল্যের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, নোভারটিস ১৯৯৭ সালে দেশের বাজারে সর্বপ্রথম ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট স্যানডোক্যাল নিয়ে আসে। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধপ্রস্তুতকারক নোভারটিস ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট প্রবর্তনে গোটা বিশ্বেও পথিকৃৎ; প্রায় ১শ’ বছর আগে ১৯২৭ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মত মানবদেহের জন্য ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের ওষুধ বাজারজাত করে সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ক্যালসিয়াম সম্পূরক চিকিৎসার ভিত্তি রচনা করে।

সেমিনারে বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সালেক অস্টিওপোরোসিসের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব ঘাতক। এ রোগের ব্যবস্থাপনায় ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টের ভূমিকাও অনেক। তাই এ রোগ প্রতিরোধে আমাদের ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

নোভারটিসের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রোগীদের জন্য স্যানডোক্যালসহ মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহে তাদের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You