পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেতন হোন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নি:সরণকারী দেশ নয়, বরং আমরা শিল্পপ্রধান দেশগুলোর উচ্চ কার্বন নি:সরণজনিত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কার্বন নি:সরণ কমানোর কোনো বাধ্যবাধকতা আমাদের না থাকলেও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম পথিকৃৎ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনামাফিক আমাদের দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ব্যবহার্য শক্তির ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছে।

বুধবার (২২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে শক্তি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত পলিসি ফ্রেমওয়ার্কস ফর এনাব্লিং রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট : অ্যা গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল পারস্পেক্টিভ শীর্ষক নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক দুই দিনব্যাপী ২৪তম জাতীয় রিনিউয়েবল এনার্জি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপনায় নিয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন- অনন্ত মহাবিশ্বের কোটি কোটি গ্রহের মধ্যে এখনও আবিষ্কৃত একমাত্র জীবনতরী আমাদের পৃথিবী গ্রহ। বিপুল মহাবিশ্বে প্রাণের একমাত্র ধারক-বাহক এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে এর পরিবেশ-প্রকৃতিকে সবুজ-শ্যামল জীবন্ত রাখার কোনো বিকল্পই নেই। আর এ জন্য প্রয়োজন সকল মানুষের সচেতন ভূমিকা।

এ সময় ড. হাছান এ সম্মেলন আয়োজকদের ধন্যবাদ দেন এবং শক্তির নবায়নযোগ্য উৎস যেমন সৌর-শক্তি, বায়ু-শক্তি, পানি-শক্তিসহ যে সব শক্তি উৎপাদনে কার্বন নি:সরণ হয় না, সেই সবুজ শক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সকলকে উৎসাহিত করতে আহবান জানান ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতার হোসেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিভালপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) মো: আলমগীর মোর্শেদ, বাংলাদেশ সোলার রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো: নূরুল আকতার এবং সাসটেইনেবল এন্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডিভালপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত ও নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান যথাক্রমে মূল প্রবন্ধ ও ধন্যবাদ বক্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ এনার্জির সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস শামস স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You