সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে এবং মাথায় কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই’ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘৩০ ঊর্ধ্ব চাকরি বাজারে ইনভ্যালিড সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থী ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ’ শীর্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। আগামী শুক্রবার দাবি বাস্তবায়নে আবার শিক্ষার্থী সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
এসময় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শরীফুল হাসান শুভ বলেন, বাংলাদেশে যে চাকরির বাজার ৩০ বছর পর এই সার্টিফিকেটের কোনো মূল্য থাকে না। সেটি ৩০ বছরের পর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। আজকে তরুণ শিক্ষার্থীরা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই বয়সসীমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা চাকরি চাই না, আমরা নিজেকে প্রমাণের সুযোগ চাই। আগামী শুক্রবারে আবার আমাদের শিক্ষার্থী সমাবেশ রয়েছে। আমরা চাই এই সময়ের মধ্যে অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাবেন বলে আশা রাখি।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন বলেন, রাষ্ট্রকে একটা কথা জানাতে চাই শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা আজ ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে। পৃথিবীর ১৬২টি ৩৫ ঊর্ধ্ব আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এই চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি পাইনি। শিক্ষার্থীরা কয়েক বছর ধরে এই আন্দোলন করে আসছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণের দাবি জানাচ্ছি। শুধু আমরা সুযোগ চাইছি।
মামলার শিকার হওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে ২৭-২৮ বছর লেগে গিয়েছে। আমি তো সুযোগ চেয়েছে যেন আমাকে চাকরির বাজারে প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী, কিন্তু মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে পাঠানো হলো। কি অপরাধ ছিল আমার? শুধু চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ চেয়েছি। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এর বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।