বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। বর্তমান ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের অনুসারীরা পৃথকভাবে তিন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল অনেকটা প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এতে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির একজন প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ২১মে বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ্ অলি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাসেল ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক শাহীন। তবে ইমরান হোসেন রাসেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এনামুল হক শাহীনের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন। আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড, আব্দুল হালিম।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অনুসারী অধিকাংশ দলীয় নেতাকর্মী চেয়ারম্যান পদে শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ অলির পক্ষে ভোটের মাঠে নেমেছেন। একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকুর অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান পদে এনামুল হক শাহীনের পক্ষে কাজ করছেন। অন্যদিকে ওই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মো.দেলোয়ার হোসেন এবং তাঁর মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা সুমির অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান পদে মো. মনিরুল ইসলামের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন।
চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম নির্বাচনী মাঠে থাকলেও দলের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকর্মীকে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে আব্দুল হালিম বলেন, দল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচারে অংশ নিতে বাধা থাকলেও তৃণমূল নেতাকর্মীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, অ্যাড, আব্দুল হালিম ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে নির্বাচন করছেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে তিনি বহিষ্কার হয়েছিলেন। তবে কিছুদিন পরে তাঁর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হয়। এ কারণে বিএনপি নেতারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিতে দ্বিধাবোধ করেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, সদর উপজেলায় মূলত আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ অলি। এ ছাড়া যে দু’জন রয়েছেন তাদের পরিবার এক সময় আওয়ামী লীগ করেছে, তবে এখন তারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। তাঁর দাবি, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হলেও দলে কোনো প্রভাব পড়বে না।