জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
শনিবার (১৮ মে) বিকালে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান (ঘোরা প্রতীক) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর তিনি এ লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাননীয় স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সচিব, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, নড়াইল থানা বরাবর অভিযোগটির অনুলিপি প্রদান করেন তিনি।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,২১শে মে, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আমি এই মর্মে আপনার নিকট অভিযোগ দায়ের করছি যে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশ সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা এমপি মহোদয় তার নির্বাচনী এলাকার কোন উপজেলায় কোন প্রার্থীর পক্ষে কোনরূপ প্রচার ও প্ররোচনা চালাতে পারবেন না। কিন্তু ৯৪ নড়াইল-২ আসনের এমপি মাননীয় হুইপ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা নড়াইল বসে নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার (আনারস প্রতিকের) পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। যা উপজেলা নির্বাচন আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা রোববার (১৯ মে) সকালে বলেন,নড়াইলে অবস্থান করাকালীন সময়ে শুধুমাত্র নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে অবস্থানকালীন সময়ে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাড়ির বাহিরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সাথে দেখা করেননি।
মাশরাফি আরো বলেন,আমি নিশ্চিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব।
নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শ্বাশতী শীল বলেন,শুধু আজকের অভিযোগই নয় তোফায়েল মাহমুদ এ পর্যন্ত ৬টি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সব প্রার্থীকেই গুরুত্ব দিয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজকের অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ অভিযোগকারী দেননি। তাকে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।