সাতক্ষীরায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এমপি মো. আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, সাতক্ষীরায় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, দুর্নীতিগস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টিকারীদের কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অসাংবাদিকতাকে দুর করে সঠিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।ভুঁইফোঁড় নয় প্রকৃত সাংবাদিকরাই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক মলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৮ মে)সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের কোরাইশী ফুটপার্ক কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় ডিস্ট্রিক্ট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের আহবায়ক এ্যাড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সদর আসনের সংসদ সদস্য, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এমপি আশু আরও বলেন, পরিছন্ন সাতক্ষীরা সদর আসন গড়তে যত বাঁধায় আসুক না কেন আমি লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। সেজন্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনগন, আওয়ামী লীগ ও জোটের নেতাকর্মীদের সহোযোগিতা প্রয়োজন।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা,পুলিশ প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসায় হবে আমার আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ।জনগন যদি তার ন্যায্য অধিকার আদায় করতে সচেষ্ট হয় তবে আর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না বলে তিনি তার বক্তব্যে অভিমত প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি তার বক্তব্যে বলেন, নিজের অধিকার নিজেই আদায় করে নিতে হবে।আমরা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করে আপস-মিমাংশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছি।সেজন্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।যেখানে একটি ধর্ষণের মামলাকেও টাকার বিনিময়ে আপস করা হয় তাহলে মানবাধিকার পরিস্থিতি কোথায় সেটাই আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।তেমনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির পরিবারও একইভাবে আপসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। অতীতের সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকার কোন মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করছে না।বরঞ্চ ব্যাক্তি স্বাধীনতাটা আরও বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন। সেজন্য সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে কোন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়।
ডিস্ট্রিক্ট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরার সদস্য সচিব
এ্যাড. মুনিরুদ্দীনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন এমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মোহাম্মদ টিপু সুলতান, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ দিলারা জামান, সিনিয়র সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি।
ডিস্ট্রিক্ট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ পবিত্র মোহন দাস, এ্যাড. ঝুমুর, এ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু, সাবেক কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, এ্যাড. বদিউজ্জামান,নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, এ্যাড আল মাহমুদ পলাশ, উদীচীর শেখ সিদ্দিকুর রহমান, দলিত নেতা গৌর পদ, আলী আকবর, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এ্যালাট টিমের সমন্নয়ক মাহবুবুল হক, এ্যাড. হাবিব, ভূমিহীন নেতা মো. আব্দুস সামাদ, নাগরিক নেতা আলী নূর খান বাবুল, মটর শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি।
মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন এমএসএফ’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চলতি বছরের তিন মাসের (জানুয়ারী-মার্চ) সাতক্ষীরায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তথ্য সম্বলিত বুকলেট প্রকাশ করে। তাতে সাতক্ষীরায় ৭টি উপজেলার ৮টি থানায় একটি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে,১৬ টি ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ৩৬, ৮ টি সিঁধেল চুরি, একটি গাড়ি চুরি, অন্যান্য চুরি ২২ টি, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ টি, ২টি মানব পাচার,পর্নো গ্রাফি একটি, অস্ত্র আইন মামলা একটি,চোরা চালান ৭টি,মাদক দ্রব্য আইনে মামলা, ১৯৮ টি, অন্যান্য রুজুকৃত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪৫টি বলে সভায় বক্তারা উপস্থাপন করেন।