একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রম শুরু করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে ৬৪টি জেলার ১০০টি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হবে। বসুন্ধরা ফুড ডিভিশনসের ব্যবস্থাপনায় ‘বসুন্ধরার পণ্য ভোক্তার জন্য’ এই স্লোগানে ৬৪টি জেলায় ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার্স-২-এ ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। লাইভ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৬৪টি জেলার ১০০টি স্পটকে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত রেখে ট্রাক সেল কার্যক্রমের শুভ সূচনা করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এম এম জসীম উদ্দীন, সিওও, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আব্দুস শুক্কুর, সিওও, সাপ্লাই চেইন ডিভিশনস, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বেলাল হোসেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার, বসুন্ধরা ফুড ডিভিশনস, বসুন্ধরা গ্রুপ, রেদোয়ানুর রহমান, হেড অব সেলস, বসুন্ধরা ফুড ডিভিশনস এবং বসুন্ধরা এলপিজি, বসুন্ধরা গ্রুপসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ডেপুটি ডিরেক্টর আতিয়া সুলতানা, ডেপুটি ডিরেক্টর আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল, সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।এ ছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অপূর্ব অধিকারী, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান। কারওয়ান বাজার থেকে যুক্ত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিকাশ চন্দ্র সাহা এবং ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুম আরেফিন।
সাফিয়াত সোবহান বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণ্যে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গেল বছর থেকে শুরু করা আমাদের এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকতার সাথে এই পবিত্র রমজান মাসেও আমরা পরিচালনা করেছিলাম। আমরাই প্রথম সারা দেশ জুড়ে ৬৪টি জেলায় সাশ্রয়ী মূল্যে ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রম চালু করলাম।”
উদ্বোধন শেষে রেদোয়ানুর রহমান (হেড অব সেলস, বসুন্ধরা ফুড ডিভিশনস এবং বসুন্ধরা এলপিজি) বলেন, “প্রতিবছর দুই ঈদের আগে থেকেই বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে। এতে ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পেতে বেশ কষ্ট হয়। বসুন্ধরা ফুড ডিভিশনস গত বছর থেকেই সীমিত আকারে ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রম শুরু করে। ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এ বছর ব্যাপক আকারে সবকটি জেলায় মোট ১০০টি স্থানে আমরা ‘সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার পণ্য, ভোক্তার জন্য’ স্লোগানে এ কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশক্রমে প্রতিবছর আমরা সারা দেশে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।”বসুন্ধরা হেডকোয়ার্টার্সে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর তিনি কয়েকটি জেলায় ডিজিটালি যুক্ত হয়ে সরাসরি কথা বলেন তদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে এবং কোথায় কোথায় এই কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে অবগত হন। বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বসুন্ধরার এই উদ্যোগের ফলে আশা করছি আমাদের পণ্য সরবরাহব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বসুন্ধরার এ কার্যক্রমের ফলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে।’প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার তেল, ময়দা, সেমাই, হলুদ, মরিচসহ মোট ১০১টি ভোগ্য পণ্যের এই ট্রাক সেল কার্যক্রম চলবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ একটি ক্যাটাগরি থেকে একটি পণ্যই কিনতে পারবেন। ক্রেতা যদি তেল কিনতে চান তাহলে উনি তেলের যেকোনো একটি বোতল (১ অথবা ২ অথবা ৫ লিটার) ক্রয় করতে পারবেন। আটা, মসলা, চা, চিনিগুঁড়া চালসহ সকল পণ্যই এই নিয়মে ক্রয় করতে হবে। যাতে এই কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোক্তা অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে।১০০টি স্থানের নাম ও লোকেশন পেতে স্ক্যান করুন