রক্ষণশীল দেশে একজন নারী হয়ে মিক্স মার্শাল আর্ট খেলে নিজের দেশকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা অনেকটা স্বপ্নের মতো। যেমন, নারী হয়ে বক্সিং খেলা, তাও আবার ছেলেদের সাথে! পুরো জিমে নারী মাত্র একজনই। তার নাম হাতান আলসাইফ। নিজের অনুশীলন চালিয়ে যেতে, শুরু করেন পুরুষদের সাথে প্রশিক্ষণ। প্রতিপক্ষ নিজের লিঙ্গের বিপরীত।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
জানুয়ারিতে, আলসাইফ প্রফেশনাল ফাইটারস লিগের (পিএফএল) সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা তাকে সৌদি আরবের প্রথম নারী হিসেবে মিক্স মার্শাল আর্টিস্ট হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেয়। ছোটবেলায় মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে ফেলেন আলসাইফ। ছোটবেলায় বিষণ্নতার সাথে লড়াই করেছিলেন তিনি। এরপর, বিষণ্নতা কমাতে শুরু করেন মার্শাল আর্ট।
শুক্রবার (১০ মে) মিশরের নাদা ফাহিমের বিরুদ্ধে তার অ্যাটমওয়েট লড়াইয়ের আগেই, ২২ বছর বয়সী ইতিমধ্যেই মিক্স মার্শাল আর্ট (এমএমএ)-তে নতুন ইতিহাস গড়েছেন । সৌদি আরবের রিয়াদে তার জিমে থাকা কয়েকজন নারীর মধ্যে একজন তিনি। ইচ্ছে শুধু আন্তর্জাতিকভাবে সৌদির হয়ে লড়াই করা। তবে মিক্স মার্শাল আর্টে তার সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবে ‘আগ্রাসী’ মনোভাবকে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন রেকর্ড গড়তে সাকিবের চাই ৩ উইকেট
আলসাইফ জানান, “আমিই একমাত্র মেয়ে ছিলাম যে দিনরাত জিমে অনুশীলন করছিল। আমি সর্বদা ছেলেদের সাথে অনুশীলন করি কারণ কোন মেয়ে নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমি ছেলেদের সাথে ট্রেনিং করি। আলসাইফ সৌদি আরবে নারী এমএমএ যোদ্ধাদের জন্য একটি ট্রেলব্লেজার হিসাবে তার অবস্থান সম্পর্কে তীব্রভাবে সচেতন। সেই সাথে, এই ধরনের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করার চেষ্টা করছেন।
আলসাইফ বলেন, ‘বাবা-মাকে হারানোর কারণে আমার শৈশব সহজ ছিল না। কিন্তু একমাত্র আল্লাহর পরে মার্শাল আর্ট আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।এটা আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এ কারণেই আমি মার্শাল আর্টে আসক্ত।