স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রমনায় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আবদুস সবুরের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর আইইবির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মো. আবদুস সবুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ভিশন-২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ বাস্তবায়নে প্রকৌশলীরা দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ে যেকোনো পরামর্শ দিতে আইইবি সক্ষম। আইইবির প্রকৌশলীর সদা প্রস্তুত রয়েছে।
আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট করে আইইবির পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি। সেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
পেশাজীবী প্রকৌশলীদের দাবিসমূহ হলো-
• প্রকৌশলীদের পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করা।
• পলিটেকনিক শিক্ষকদের বর্তমান চাকরি কাঠামো পরিবর্তন।
• বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থাসমূহকে (এলজিইডি) বিসিএস ক্যাডারভুক্তকরণ, বিসিএস পানি সম্পদ ক্যাডার, বিসিএস টেলিকম, বিসিএস টেক্সটাইল ক্যাডার চালু করা।
• প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকৌশল উইং সৃষ্টি।
• বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি ব্যক্তিদের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) নিয়োগ করা।
• বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নিয়ন্ত্রণাধীন সব বিদ্যুৎ সেক্টরকে সমন্বিত করা।
নব-নির্বাচিত সরকার নতুন ভাবে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রকৌশলীদের জন্য দাবীগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে বিশ্বাস করে আইইবির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ যে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ স্লোগানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে আইইবির সদস্য সংখ্যা প্রায় সত্তর হাজার।প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি নানান কর্মসূচি পালন করেছে। আইইবির সদর দফতরে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা ও আইইবি পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল সাড়ে টায় কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আইইবির ১৮ টি কেন্দ্র, ৩৪ টি উপকেন্দ্র ও ১৪ টি ওভারসীজ চ্যাপ্টারে একসময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।