বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ডলার

সৌদি রিয়াল ও ডলার প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য শানু ফকির, তৈয়ব হাওলাদার, মিজানুর রহমান মিজান, আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার ও শাহীন বয়াতিকে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছেন।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন 

রবিবার রাতে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রাম থেকে প্রতারনা কালিন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ চক্রের মুল হোতা কুকুয়া ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদার পলাতক রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছেন বলে পুলিশ সুত্রে জানাগেছে। সোমবার তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের আজাহার হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার গত ৪০ বছর ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করে আসছে। ওই এলাকায় তার এ চক্রের ৪৫-৫০ জন সদস্য রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত রবিবার রাতে ওই চক্রের হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারসহ ৬/৭ সদস্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারনা করে আসছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল আলমের নেতৃত্বে ওই গ্রামে অভিযান চালায়। পরে ওই চক্রের সদস্য শানু ফকির, তৈয়ব হাওলাদার, মিজানুর রহমান মিজান, আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার ও শাহীন বয়াতিকে আটক করে। কিন্তু মুল হোতা জালাল হাওলাদার পালিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে তিন’শত আসল রিয়াল ও কাগজ দিয়ে মোড়ানো গামছায় পেচানো ভুয়া রিয়ালের পোটলা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় প্রতারনা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার আমতলী থানা পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাদের জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় অহিদুল আলমসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদার আসল ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে প্রতারনা করতে মানুষকে ফাঁদে ফেলে। পরে ভুয়া রিয়াল ও ডলার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে গত ৪০ বছরে জালাল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা আরো বলেন, জালাল এলাকায় ৪৫-৫০ জনের একটি প্রতারক চক্র গঠন করেছে। ওই চক্র ডলার ও সৌদি রিয়ালের প্রলোভন দেখিলে মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দ্রæত এ চক্রের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী আগে ডলার ও সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারনা করতো কিন্তু এখন আর করে না। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মারুফ আহম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারনা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম বলেন, চক্রের হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এদের বিরুদ্ধে বরিশাল বিমান বন্দর থানায় মামলা আছে। তিনি আরো বলেন, পাঁচজনকে আটককালে তিন’শত আসল রিয়াল ও কাগজ দিয়ে মোড়ানো গামছায় পেচানো ভুয়া রিয়ালের পোটলা উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা হয়েছে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাকৃত পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You