সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে ৫এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির

সাতক্ষীরার উন্নয়ন ইস্যুতে জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্যকে আগামী বাজেট অধিবেশনের আগেই এক টেবিলে বসার আহবান জানিয়েছে জেলা নাগরিক কমিটি।

শনিবার (৪ মে ২০২৪) সকালে সংগঠনের এক সভায় এ আহবান জানান নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্ব সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যগণ জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংসদ সদস্যগণ তাদের স্বস্ব উদ্যোগে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা জেলার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম আশানুরূপভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন      

প্রস্তাবে বলা হয়, গত ১৫ বছরে সারাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে তার ছোয়া সাতক্ষীরাতেও পড়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক ও কপোতাক্ষ পাড়ের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ ছোট বড় বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বসন্তপুর নৌবন্দর, সাতক্ষীরা অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাতক্ষীরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ সিক্স লেন সড়ক, সাতক্ষীরা-ভেটখালী ফোর লেন সড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীতকরণে ইতোমধ্যে পাটকেলঘাটা উপজেলা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সভায় আরো বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুলাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার আয়লা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে। শ্যামনগর উপজেলার মহাসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠের জনসভায় সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে ১১টি বিষয়ে ঘোষণা দিলেও নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণ, ভোমরা স্থল বন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু, সাতক্ষীরায় পর্যটনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গত ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি। জেলার জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী ভাঙন রোধে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও সমস্যার গভীরে যেয়ে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকায় প্রকল্পগুলোর আশানুরূপ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্তায় জেলার সকল সংসদ সদস্যকে এক টেবিলে বসে প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর করে উন্নয়নের গতি তরান্বিত করার আহবান জানান এবং প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার জেলা শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সামগ্রীক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আহবান জানান।

সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, অধ্যাপক পবীত্র মোহন দাস, এড. আজাহারুল ইসলাম, সুধাংশু শেখর সরকার,মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত,সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন,উদীচীর শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এড. আল মাহামুদ পলাশ, কমরেড আবুল হোসেন, নিত্যা নন্দ সরকার, যুগ্ম সদস্য সচিব আলি নুর খান বাবলু, আবু তালেব মোল্লা, নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, আব্দুস সামাদ, আদিত্য মল্লিক, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, রিয়াজুল ইসলাম, জহুরুল কবির, মো: মুনসুর রহমান, কাজী আকতারুজ্জামান মহব্বত, মো: মোসিম বিল্লাহ, আল মাহামুদ প্রমুখ। সভায় জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবীসহ বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

শেয়ার করুন:

Recommended For You