দেশের আদার চাহিদা ৪.৮১ লক্ষ মেট্রিকটন হলেও ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ২.৮৮ মেট্রিকটন আদা উৎপাদন হচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। দেশের প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ইঞ্চি মাটি অনাবাদি থাকতে দেওয়া যাবে না। এই মূলমন্ত্র থেকে সারাদেশে ব্যাপী অনাবাদী পতিত জমি সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষে বস্তায় আদা চাষের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছে কৃষি অধিদপ্তর।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
রাজশাহী কৃষি দপ্তরের অধীনস্ত জেলার ৯টি উপজেলায় বস্তায় আদা চাষ শুরু হয়েছে। দেশের আদার চাহিদা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষে জেলার গোদাগাড়ী, তানোর, মহোনপুর, বাঘমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় বস্তায় আদা চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকদের বস্তায় আদা চাষের পদ্ধতি হলো, মাটি ও আবহাওয়া, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও উচু জায়গা বস্তায় আদা চাষের জন্য সর্বোত্তম উপযোগী। সিমেন্ট বা অন্য বস্তায় আদা চাষে প্রতি বস্তান জন্য ১০-১২ কেজি মাটি, কেজি গোবর, কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ১ কেজি ছাই,২০ গ্রাম টিএসপি, ৭.৫ গ্রাম এমওপি, ১০ গ্রাম কার্বফুরান, ৫ গ্রাম দস্তা ও ৫ গ্রাম বোরণ একত্রে মিশ্রণ করে আদা রোপনর ১৫-২০ দিন পূর্বে একত্রে ডিবি কওে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন বাতাস প্রবেশ না করতে পারে। বস্তায় আদা রোপনের সময় এপিল-মে (চৈত্র-বৈশাখ) মাসে আদা লাগাতে হবে। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে আদা লাগানোর উপযুক্ত সময়।
বস্তায় আদা চাষ করলে তেমন কোন আগাছা হয়না। বৃষ্টি না হলে কাকড়ি দিয়ে হালকা পরিমান পানি সেচ দিতে হবে। তবে স্বাভিক মাত্রায় বৃষ্টি হলে সেচের প্রয়োজন নেই। বর্ষাকালে ৪-৬ সে:মি: উচ্চতায় কম্ব পঁচা রোগ হতে পারে। তাই বস্তায় যেন পানি না জমে সেই দিকে খোয়াল রাখতে হবে। বাড়ন্ত গাছে অনেক সময় পাতা খেকো পোকা গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলে। এই পোকা দমনের জন্য ১০-১৫ দিন পরপর ২-৩ বারবি কালে ০.৫%হাওে মার্শাল বা ১ এম এল প্রতি লিটারহাওে ডাস্টবার্ন বা নাইপারমেথ্রিন গ্রুপের ঔষধ স্প্রে করতে হবে।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বস্তা থেকে আদা উঠানো হয়। আদা পরিপক্ক হলে পাতা-ক্রমণ হলুদ হয়ে কান্ড শুকাতে শুরু করবে। ওই সময় আদা তুলে মাটি ঝেড়ে ও শিকড় পরিস্কার করে সংরক্ষণ করা হয় বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চারঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার আল হাসান মামুন বলেন, এই উপজেলায় ২শত চাষী ১৫হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছে। বস্তায় আদা চাষ সকলেই সাদ কৃষি হিসাবেও করতে পারেন। যে কোন ধরনের বাড়ির চারপাশে, বা ছাদের উপরে অথবা পতিত ফাকা জায়গাই বস্তায় আদা চাষ করা যায়। বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, সারাদেশ ব্যাপী আদা চাষে এই উপজেলায় ৫০ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। দূর্গাপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর জাানান, আদা চাষের জন্য বস্তা প্রস্তত করা হচ্ছে।
সর্বপরি আদার লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের লক্ষে জেলার সকল উপজেলায় বস্তায় আদা চাষের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার অনেক উপজেলায় আদা চাষের বেশ সরা পাওয়া গেছে বলে জানান ডিডি মোজদার হোসেন জেলা কৃষি দপ্তর।