প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বক্তব্যে বলেন, খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে নওগাঁ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান- ২০২৪ সফল করার লক্ষ্যে নওগাঁ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকেনা। এছাড়া পরিমানেও চাল কমে যায়। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজারে পালিশ বিহীন চাল থাকলে ভোক্তারা সেদিকে আকৃষ্ট হবে।
বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখা বিষয়ে বলেন, বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত লেখা চাল আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উৎপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবেনা। যে সকল কারণে ধান সংগ্রহ সফল হয়না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে। বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি।
জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: জহিরুল ইসলাম খান। এছাড়াও কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদার।