বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবল দলের অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আওয়ামী সরকার ডামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। নিজেদের ইচ্ছে মতো তারা দেশ পরিচালনা করছেন। কিন্তু এ দেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
আজকে দেশের যে পরিস্হিতি আওয়ামী সরকার দেশের গনতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের ভোটাধিকার নেই, আওয়ামী সরকারের জন্য আজ দেশের মানুষ নির্যাতিত, নিস্পেষিত, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারনে আজ দেশের সাধারণ জনগণ শান্তিতে দু ‘মুঠো ভাত পেট ভরে খেতে পারছে না। এই পরিস্থিতির ও শেষ আছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী সরকারকে মনে রাখতে হবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। এই আওয়ামী সরকারকেও ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
সোমবার ( ২৯ এপ্রিল) দুপুরে খিলগাঁওস্হ তালতলা ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের সামনে, উত্তরার ১ নম্বর ওয়ার্ড আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে, পল্লবী ৬ নং ও আঞ্চলিক ৬ নং ওয়ার্ডে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির তৃতীয় দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সাধারন জনগন ও পথচারীদের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, আজকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র তাপদাহে নগরীর পথচারী জনসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করতে গেলে পুলিশ পানি বিতরণ করতে দিবে না বলে বাঁধা দেয়, তিনি বলেন, এই হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের নমুনা। আমরা কোন দেশে বাস করছি। যে দেশে একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী জনগণের সেবা করতে পারে না।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বর্তমান সরকার যেকোন দূর্যোগে মানুষের পাশে দাড়ানো তো দূরের কথা উলটো তাদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করে খায়। অথচ বিএনপি সাহায্য করতে গেলে তারা বাধা দেয়। আমরা যারা বিএনপি করি, গত ১৭ টা বছর যাবৎ নির্যাতন নিপীড়ন এবং বিরোধী দলে থেকেও শত শত মামলা হামলা মোকাবেলা করেও যেকোন দূর্যোগে জনগণের পাশে থাকি। তিনি বলেন, করোনা কালীন কঠিন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী সরকারের সিন্ডিকেটের লোকেরা সারাদেশের অনেক নদ নদী খাল অবৈধ ভাবে দখল করে ভরাট করেছে, এরপর তারা ইট পাথরের প্রাচীর তৈরি করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এরফলেও আজকে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমিনুল হক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের সবুজায়ন তৈরি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, এরপর বিএনপির এক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা এই বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি পালন করে থাকি। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭ টা বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে তারা বৃক্ষ রোপন না করে বৃক্ষ নিধন করেছে। তাদের এ বৃক্ষ নিধনের ফলে আজকের বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিবর্তন এসেছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই আওয়ামী সরকার দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে নাই,বাংলাদেশের জনগণের কাছে তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই। এই আওয়ামী সরকারকে একদিন জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম সামসুল হক, আকতার হোসেন, হাজী মোস্তফা জামান, সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, আব্দুস সালাম সরকার, হাজী মোঃ ইউসুফ, আহসান হাবিব মোল্লা, মাহাবুবুর রহমান মন্টু, এবিএমএ রাজ্জাক, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মহসিন সিদ্দিকী রনী, উত্তরখান থানা বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খান মেম্বার,তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ ভূইয়া, দক্ষিণখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান, উত্তরা পূর্ব ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ সুরুজ আলম, রুপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিয়ার মজিবুল হক, খায়রুল আলম নয়ন, পল্লবীর যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, স্রমিকনেতা গাজী সিরাজ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম দেওয়ান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন, ৬ নং ওয়ার্ড আঞ্চলিক সভাপতি কামাল হোসেন,৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ফরহাদসহ প্রমুখ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।