নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রের যে চর্চা এবং সৌন্দর্য সবকিছু নস্যাৎ হয়ে যায়। দেশের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোট, চুন ছাড়া পানের মতো’। চুন ছাড়া পান যেমন মজা লাগে না, নির্বাচনের বিষয়টিও একইরকম।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, এনএসআই’র জয়েন্ট ডিরেক্টর হেমায়েত হোসেন, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: তানজীর আহম্মদ, পদাতিক, ঠাকুরগাঁও জেলা আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট মো: মিনহাজ আরেফিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মো: মঞ্জুরুল হাসান প্রমুখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
ভোট প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, এই প্রথম আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। উদ্দেশ্য একটাই, কারণ একটাই, আমরা সবাই জানি দেশের জন্য নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন জিনিস। সাধারণ জনগন তাদের ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রদান করবেন। আর যাদের জনগণ নির্বাচিত করে আনবেন, তাদের ভোটের মাধ্যমে, ভোট দিয়ে এ স্থানগুলোতে আনবেন। তারাই জনগনের পক্ষে দেশের এ জায়গাগুলোতে কাজ করবেন। সেই কাজটিই কিন্তু গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং এটি নির্বাচনের মাধ্যমে হলে ভাল, না হলে গণতন্ত্র চর্চা থাকে না, এটার যে সৌন্দর্য্য সেটি নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আসার পরই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছি, এটি দেশের জন্য খুবই জরুরী। সেই ধারাবাহিকতা যাতে চলমান থাকে সেটাই আমাদের চাওয়া। আমরা আসার পরে প্রায় ১২শ এর মত নির্বাচন করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। সকলে একবাক্যে রায় দিয়েছে জনগণের প্রত্যাশা পুরণের মাধ্যমে অবাধে তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, এবং এতে আমরা কিন্তু সফল হয়েছি বলে বিশ্বাস করি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কাছাকাছি আমরা গিয়েছি। এটা আরও বেশি উচ্চতার যায়গায় যাক, এটুকুই আমাদের কমিশনের প্রত্যাশা। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূরক এবং জনগণের স্বত:স্ফুর্ত ভোট প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত করাই কমিশনের মূল লক্ষ্য।