সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফেনীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য সেফটি দিবসে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীনজেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শরীফ আহমেদ আজাদ, ফেনী ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাওন শওকত, পরিবহন নেতা গোলাম নবী।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ গুগল নিউজ অনুসরণ করুন
শ্রম পরিদর্শক ফারহানা আকতারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুর রহমান সাইফু, স্টার লাইন গ্রুপের ম্যানেজার মিজানুর রহমান, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের শ্রমিক প্রতিনিধি সজিব, ভিশন ট্রাস্ট গ্রুপের প্রতিনিধি আবদুল মজিদ। ফেনী ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, শ্রমিক, কর্মকতা, কর্মচারী সকলকে সকল কর্মক্ষেত্রে প্রথমে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ একটি শ্রমিকদের কর্মের উপরে একটি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। আমরা যে জায়গায় কাজ করি সেখানে কর্মপরিবেশ না থাকলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে খালি পায়ে হেঁটে চলা, যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে তেমনি মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. শাওন শওকত বলেন, প্রতিটি শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, আজকের এ দিবসটি আমাদের সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। সরকারি, বেসরকারি সকল দপ্তরের কর্মকতা-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা না থাকলে আমরা সকলে ঝুঁকির মধ্যে থেকে যাচ্ছি। এ ঝুঁকি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কল কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেফটি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের থাকা, খাওয়ার সু-ব্যবস্থা, কোন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কলকারখানা অধিদপ্তর কতৃক শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি, মাসিক ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠানে ৫০ জন থেকে ৩ শত জনের অধিক শ্রমিক কাজ করে সে সকল প্রতিষ্ঠানে ১ জন করে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠানে কলকারখানা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেফটি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শরীফ আহমেদ আজাদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর বিধান অনুযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসমূহ বাস্তবায়নসহ শ্রম ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা সমুন্নত রেখে মালিক, শ্রমিক, সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয়ের কাজ করে যাচ্ছে। জেলার বিভিন্ন কলকারখানা, ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেফটি নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করছি ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকদের তালিকা প্রেরণ ও স্বাস্থ্য সেফটি নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানে কত জন শ্রমিক কাজ করছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।