গাইবান্ধায় মিনি জাফলংয়ে দর্শনার্থীদের ভিড়

পাহাড়ের মতো উঁচু ব্রিজের নিচে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর। তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে স্বচ্ছ শীতল জলরাশি।

প্রথম দেখাতেই দর্শনার্থীর মনে ভেসে উঠবে সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের প্রতিচ্ছবি। তাইতো তীব্র তাপদাহ থেকে একটু প্রশান্তির আশায় গাইবান্ধাবাসী ছুটছে জেলার বুক চিরে বয়ে চলা ঘাঘট নদীর এ স্থানটিতে। জেলা শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে খোলাহাটি ইউনিয়নে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ভেড়ামারা রেল সেতু এলাকাটি এখন মানুষের বিনোদন কেন্দ্রে হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্থানীয়রা জায়গাটিকে নাম দিয়েছে রোমান্টিক জাফলং। আগত দর্শনার্থীরা এটিকে তুলনা করছেন সিলেটের সাদা পাথরের জাফলংয়ের সঙ্গে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এটি গাইবান্ধাবাসীর জন্য গরীবের জাফলং।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভেড়ামারা রেলওয়ে সেতুর পাশেই সম্প্রতি একটা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু দুটিকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষায় এখানে ছোট-বড় আকারের পাথর নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে নদীর পানি কম থাকায় পাথরগুলো দৃশ্যমান হয়ে নান্দনিক এ পরিবেশ তৈরি করেছে। তীব্র তাপদাহ থেকে একটু প্রশান্তির আশায় এখানে ছুটছে শিশু-কিশোর আর যুবকসহ সব বয়সী মানুষ। সেখানে স্বচ্ছ-শীতল পানিতে ভিজে-সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি নিচ্ছেন তারা।

দর্শনার্থীরা জানান, তীব্র গরম থেকে প্রশান্তিসহ বিনোদনের জন্য বিভিন্ন এলাকার শত-শত মানুষ আসছেন এখানে। তারা পানিতে নেমে ছবি ও সেলফি তুলছেন। কেউবা নদী তীরে দাঁড়িয়ে অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করছেন। তারা আরও জানান, গাইবান্ধায় দর্শনীয় স্থান খুব একটা নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত অপরূপ এ স্থানটিকে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া।

খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানি বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভেড়ামারা ব্রিজ এলাকাটিকে আগামীতে একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়েছি। সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।

শেয়ার করুন:

Recommended For You