দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বরগুনা সদর উপজেলার সকল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। অন্যদিকে বেতাগী উপজেলায় দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রেরিত তথ্যের ভিত্তিতে ঋণ খেলাপির দায়ে খ ম ফাহারিয়ার সংগ্রাম আমিনুল নামের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। রিয়াজ হোসেন নামের অন্য এক প্রার্থীর তার মনোনয়ন পত্রে কোন তথ্য না দেয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল দশটায় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বরগুনা ও বেতাগী উপজেলার অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই আল হাদী প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করেন। বরগুনা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, শাহ নেওয়াজ সেলিম, এনামুল হক শাহীন, ইমরান হোসেন রাসেল, এডভোকেট মোঃ হালিম।
বরগুনা সদর উপজেলায় সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন তারা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা সুলতানা, জাহানারা বেগম, ও লাভলী। বরগুনা সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন হলেন আঃ বারেক, আনোয়ার হোসেন শিমুল, আবু সালেহ শান্ত, আরিফ হোসেন মোল্লা, ইশতিয়াক রহমান, জয়নাল আবেদীন রাফি মোল্লা, মাওলানা সায়েদুর রহমান ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সানাউল্লাহ।
বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয় তারা হলেন – নাহিদ মাহমুদ হোসেন,খলিলুর রহমান খান, আবদুস সোবহান,আমিনুল ইসলাম খান,মাকসুদুর রহমান ও রবিউল। বেতাগী উপজেলাভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মোঃ আমিরুল ইসলাম ও মো মহসিন। বেতাগী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সংরক্ষিত নারী পদে ৪ জন তারা হলেন – কোহিনূর নাসরিন, নিপু রানী দাস, মাহমুদা খানম ও মিসেস পারুল আক্তার।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই আল হাদী বলেন, ২ জনের মনোয়পত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে আমিনুল ইসলামের নামে ঋণ খেলাপি থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অপর এক প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রে কোন তথ্য না দেয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের ছোট ছোট ভুল ত্রুটির বিষয়ে আবেদন করে সংশোধন করায় তাদের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।