চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর প্রভাবে জেলায় বাড়ছে গরমজনিত রোগের প্রকোপ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর।

প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সব বয়সীরা তীব্র গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। রোগির চাপ এতোটায় বেশি যে শয্যা সংকটে পড়েছে রোগীরা। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড না পেয়ে রোগীরা মেঝেতে অবস্থান করেছে। রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি ছিল ৭১ জন। আর এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৪০ থেকে ৫০ জন। তাদের সবার বয়স ৩ মাস বয়স থেকে ১ বছর পর্যন্ত। বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে তিন শতাধিক রোগী।

এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে রোগী ভর্তি ছিল ১৭১ জন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে পাঁচ শতাধিক রোগী। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সকল বয়সীরা ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। আবার দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট। একদিকে সংকট বেড, অপরদিকে রোগী ভর্তি হয়ে আছে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায়। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এমন ভয়াবহ আক্রান্ত যেন শিশুদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের চারপাশ। এই তীব্র তাপদাহ আর গরমের কারণে হঠাৎ করে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলছেন চিকিৎসকরা।

রোগীর স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র রোদের তাপমাত্রা ও অস্বস্তিকর গরম লাগছে। তাই এখন এই সময়টা শিশু ও সব বয়সীরা নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে অনেক বেশি। গরম বাতাসটা যখন শিশুদের গায়ে এসে লাগছে। তখন শিশুরা হালকা ঠান্ডা-জ্বর হয়ে যাওয়ার পর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ। মেঝেতে পা ফেলার কায়দা নেই। সব জায়গায় রোগি ভর্তি। রোগীভর্তি হয়ে আছে সব বেডে।

এ সময় এক রোগীর মা আমেনা খাতুন বলেন, গত কালকে এসেছি আমার ছেলেকে নিয়ে। এই রোদ গরমে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ডাক্তার দেখছে।
অপর রোগী আজিজুল হাকিম বলেন, এই তীব্র রোদ আর অস্বস্তি গরমের কারণে আমি এবং আমার ছেলে দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন ডাক্তার দেখছে দেখার পর কিছুটা ভালো আছি। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে অনেক রোগির চাপ। বেড না পেয়ে। এখন মেঝেতে অবস্থান করছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ফলে হাসপাতালে অনেক রোগির চাপ বেড়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ আর তীব্র গরমের কারণে এমন অবস্থা। তবে ডাক্তার ও নার্সরা নিয়মিতভাবে রোগী দেখছে। একই সাথে পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন:

Recommended For You