বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি, চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে

বরগুনা

বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বরগুনা সদর হাসপাতাল ও ছয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। ডায়রিয়া আকান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না এসে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

বরগুনা সিভিল সার্জন কাযালয় সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনায় ৮৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত্ হয়ে সদর হাসপাতালসহ জেলা ছয় স্বাস্থ্য কমল্পেক্স ভর্তি হয়েছে।এরমধ্যে আমতলীতে১৭জন তালতলীতে ৬ জন,পাথরঘাটায় ৬ জন,বামনায় ৩ জন,বেতাগীতে ৬ জন।গত এক সপ্তাহে জেলায় ৭৬২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। চলতি মাসে গতকাল পযন্ত বরগুনা সদর হাসপাতালে ৯২৭ জন আকান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে বরগুনা সদর হাসপাতালে গতকাল ৪৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হচ্ছে । গত মাসে এই ৫৪৬ জন ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতাল কতৃপর্ক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালে পযাপ্ত পরিমান কলেরা ও খাবার স্যালাইন রয়েছে।

বরগুনা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক একেএম নজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছেন।অনেক রোগী আমরা সামাল দিতে পারছি না। আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।এই সময় ডায়রিয়া রোগ বেড়ে যায়।বর্ষা শুরু হলে ডায়রিয়া রোগ কমে যাবে।

সরেজমিনে বরগুনা সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শয্যাসংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে হাসপাতালের নোংরা পরিবেশে দুগন্ধ ছাড়াচ্ছে।

তালতলী কড়ইবাড়িয়া এলাকা থেকে মোসা লিজা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে শনিবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়াছেন। তিনি বলেন এই হাসপাতালে শুধু আইভি স্যালাইন দিয়ে থাকে।বাকি ঔষুধ বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা করাতে হয়।তাছাড়া এই হাসপাতালে কোনো শয্যা নেই।মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বরগুনা সদর উপজেলা জাকিরতবক এলাকা আবদুল্লা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে রোববার সকারে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।চিকিৎসা সেবা ভালো হলেও হাসপাতালের পরিবেশ খুব নোংরা। এতে সূস্থ্ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে যায়।

সদর উপজেলা সোনালী পাড়া এলাকার আবুল কাশেম ডায়রিয়ার আক্রা্ন্ত ছেলেকে রোবাবর সকালে সদর হাসপাতারে ভর্তি করিয়াছেন। শয্যা না থাকার কারণে হাসপাতালেরর মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন ছেলেকে চিকিৎসার জন্য গতকাল ভর্তি করিয়াছি, ভবনের ভেতরে অতিরিক্ত রোগীর চাপ ছেলেকে বারান্দায় নিয়ে স্যালাইন দিচ্চি।

সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, বরগুনায় ডায়রিয়া প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবতন ও ময়লা যুক্ত পানি পান করা সহ নানা কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের পযাপ্ত পরিমান ঔষুধ রয়েছে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You