গরম কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসার

সারাদেশে গরমের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

তাপপ্রবাহে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা রাজধানী শহর ঢাকার বাসিন্দাদের, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কী কাজ করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন? এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া বুশরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি কী কী করেছেন এবং গরমের তীব্রতা কমাতে শহরবাসীদের দিয়েছেন কিছু পরামর্শও।

গত এক বছরে নিজেদের কাজ নিয়ে বুশরা বলেন, “দায়িত্ব পেয়ে আমরা বসে নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় যত দ্রুত সম্ভব আমরা তা নিয়েছি। নগরবাসীর সচেতনতা বাড়াতে ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চলছে। নগরে গাছ লাগানোর পাশাপাশি তার পরিচর্যা নিশ্চিত করার বিষয়টিও আমরা দেখছি।”

বুশরা বলেন, ‘‘এছাড়া নগরের তাপমাত্রা ও দূষণ কমাতে ‘টু অ্যাবেল ফরেস্ট’ (দুটি বন করার চেষ্টা) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলীকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে। আবহাওয়া অধিদফতরসহ আরও কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’র সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিযুক্ত হওয়ার পর ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, ‘‘ঢাকায় পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘কুলিং স্পেস’ এর ব্যবস্থা করার জন্য সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দিয়েছি। যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান।’’

শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গত এক বছরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বুশরা আফরিন বলেন, ‘ঢাকার অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ বস্তির জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে তাপপ্রবাহের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাদের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এর পাশাপাশি বস্তি এলাকায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এখন তারাই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।’

শেয়ার করুন:

Recommended For You