সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। বৈশাখের শুরু থেকে গরমের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সমস্ত রাস্তাঘাট।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
অসহনীয় গরমে কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবি মানুষের। ভিঁড় বেড়েছে ঠান্ডা পানি, ডাব, শরবত আর আখের রসের দোকানগুলোতে।অতিগরমে একটু স্বস্তি পেতে পৌরদিঘীসহ এলাকার পুকুরগুলোতে দীর্ঘক্ষণ গোসল করছেন অনেকেই। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার সাতক্ষীরার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা শতকরা ছিল ৫৪ শতাংশ। অপরদিকে শনিবার সাতক্ষীরায় এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাতক্ষীরায় গরমের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ শ্রমজীবী মানুষেরা।গত সপ্তাহদুয়েকের মধ্যে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় ভ্যাপসা গরম আরো অসহনীয় লাগছে জনসাধারণের মধ্যে।
আরও পড়ুন গরম থেকে বাঁচতে শরবতের দোকানে ভীড়
শহরের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম বলেন,‘‘ গরমে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।সকালের দিকে শহরে কিছুটা লোকজন থাকে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় লোকজন কমতে থাকে।রোদের তীব্রতা এতো বশি যে রাস্তায় বের হলে মুখ পুড়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাইরে মানুষের সংখ্যা কম হওয়ায় ভাড়াও সেভাবে পাচ্ছিনা। ’’
শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্কের শরবত বিক্রেতা ইনতাজ আলী বলেন,‘‘অতিগরমে অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ গ্লাস শরবত বিক্রি করতাম,এখন সেখানে একশ’ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ’’
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কামরুন্নাহার বলেন,‘‘সাতক্ষীরায় কখনো মৃদু আবার কখনো মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এধারা এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।শনিবার সাতক্ষীরায় এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।