ফেনীতে লাল নিশানা দিয়ে খালের মাটি লুট

ফেনী সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ডাঙি খালের মাটি লুটের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ডিসি, ইউএনও, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশীলী এবং ৯৯৯নাইনে ফোন দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মাটিগুলো রক্ষা করলেও শঙ্কা কাটেনি।
চরম আতঙ্কে রয়েছেন জমি মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ সোনাগাজী ডাঙি খালের পূর্বাংশ স্কেভেটর দিয়ে খনন করে খালের পাড়েই খননকৃত মাটি গুলো স্তুপ আকারে রাখায় হয়। চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম রিপনের নেতৃত্বে একটি ভূমি দস্যু সিণ্ডিকেট খালের মাঝখানে বাঁধ তৈরী করে স্কেভেটর দিয়ে খালের পাড়ের মাটিগুলো লুটের প্রস্তুতি নেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাটিগুলো লুটের জন্য একদল সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়। এতে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দু’দফা পুলিশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে দু’দফা সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে মাটি দস্যু ও সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে উদ্বিগ্ন গ্রামবাসী নিরপায় হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানকেও বিষয়টি মুঠোফোনে অবগত করেন।
সোনাগাজী ডাঙি খালের উপকন্ঠের চরচান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা নূরনবী, সাইদুল হক, নূরুল আমিন, গবী, মাঈন উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, শাহাব উদ্দিন, শাহজাহান, ফুলওয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম, সুইটি আক্তার, বিউটি আক্তার ও নূরুল ইসলাম গং এসব অভিযোগ করেছেন। তারা আরও বলেন, দুই বছর পূর্বেও খালটি খনন করা হয়েছিল। খালটি খননের ফলে বিপু্ল পরিমাণ গাছগাছালির ক্ষতি হয়েছে। এরপরও খালের পাড়ে রাখা মাটিগুলো লুটে অন্যত্র বিক্রি করে দিলে জমির মালিকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তদুপরি তাদের ফসলি জমি, পুকুর পাড় ও বসতবাড়ির ভিটিগুলো ভেঙে খালে পড়ে যাবে। প্রশাসন সহ সর্বমহলে অভিযোগ করার পরও মাটি দস্যুদের রেখে যাওয়া স্কেভেটর ওই স্থান থেকে না সরানোয় গ্রামবাসীর আতঙ্ক কাটেনি।
এ ব্যপারে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নজরুল ইসলাম রিপন বলেন, আমি মাটি লুটের পাঁয়তারা করছিনা। যে বা যারা অভিযোগ করেছেন তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি কোন মাটি কারবারের সঙ্গে জড়িত নই। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ব্যাক্তিগতভাবে কেউ খালের মাটি লুটের সুযোগ নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড খালের মাটি নিলামে দিতে পারবে। এছাড়া সরকারের কোন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে পারেবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার (এস.ও) মো. রকি বলেন, খননকৃত মাটি অন্যত্র বিক্রির সুযোগ নাই। যদি মাটি বিক্রি করতে হয় পাউবো কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক নিলামে বিক্রি করতে পারবে। একটি সিণ্ডিকেটের মাটি লুটের পাঁয়তারার বিষয়টি গ্রামবাসীর কাছ থেকে শুনেছি। আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
শেয়ার করুন:

Recommended For You