অজ্ঞান পার্টির কবলে বিয়ে বাড়ী, হাসপাতালে ভর্তি ১৬

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বিয়ে বাড়িসহ দুই পরিবারের ১৬ সদস্যকে অজ্ঞান করে সর্বস্য লুটে নিয়েছে দূর্বৃত্যরা। শনিবার (২০ এপ্রিল)সকালে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন এলাকার হাবিবুর রহমান ও নারায়ন চকিদারের  পরিবারের এই ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।

হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য রোগীরা হলেন, হাবিবুর রহমান (৬৫), মোঃ শাহ আলম (৭০), ফিরোজা বেগম (৫০), আখি আক্তার (২০), মারিয়া আক্তার (২২), হাদান হাওলাদার (২৮), আশরাফুল (১২), নাইম হাওলাদার (২৬), শাফিকুল (১০), ফেরদাউসি আক্তার (৩০), হিরা আক্তার (২০), শাফিয়া আক্তার (২০) এবং নায়ারন চন্দ্র পরিবারের  নারয়ন চন্দ্র (৭০), শ্যামলী রানী (৬০), জীবন (৩২) শম্পা (২৭)। এদের মধ্যে অন্তত ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।

হাবিবুর রহমানের পরিবারের দাবি, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)রাতে নববিবাহিত মেয়ে জামাইসহ আত্মীয় স্বজন নিয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালী বাজার সংলগ্ন হাবিবুর রহমার তোতা মিয়ার পরিবারে ছিল উৎসবের আমেজ। এই সুযোগে দূর্বৃত্তরা হয়ত খাবারের সাথে মিশিয়েছেন চেতনা নাশক। চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন নববিবাহিত জামাই-মেয়েসহ পরিবারের ১২ সদস্য। চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে হাবিবুর রহমানের প্রতিবেশী নারায়ন চন্দ্রের বাড়ির চার সদস্য অসুস্থ্য হয়েছেন।দুই বাড়ি থেকে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। তবে কি পরিবান স্বর্নালংকার ও টাকা খোয়া গেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবার গুলো।

হাবিবুর রহমানের নিকট আত্মীয় মোঃ মনির তালুকদার বলেন, ১৫ এপ্রিল হাবিবুর রহমানের মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়। আমার ছেলে ও ছেলের বউসহ বেশকিছু আত্মীয় স্বজনরা হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ছিল।সকালে অচেতন অবস্থায় সবাইকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাড়ির সবকিছু লুটে নিয়ছে তারা। বেশিকিছু স্বর্নালংকার ও নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিল ঘরে কিছু পাওয়া যায়নি। সবাই সুস্থ্য হলে কি পরিমান মালামাল খোয়া গেছে তা জানা যাবে।

নারায়ন চন্দ্রের ছেলে জীবন চন্দ্র বলেন, কিভাবে কি হল জানি না। বাবা-মা এখনও সুস্থ্য হয়নি। আমাদের মালামাল ফেরত চাই আমরা।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক আহমেদ বলেন, দুটি পরিবারের ১৬ জন অসুস্থ্য অবস্থায় এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এদেরকে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক । সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক। মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছউদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You