১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ টেলিগ্রাম বার্তায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মীদের মাঝে পৌছে দেয়া এবং মুজিব নগর সরকারের ৮টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্ব বাসির কাছে তুলে ধরা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এর নির্দেশে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা- ডাক ও টেলিযোগাযোগের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ প্রণীত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে বিবেচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে মুজিব নগর সরকারের শপথের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে উপস্থাপিত হয় এবং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য আইনি দলিল হিসেবে স্বীকৃত হয়।
তিনি ১৭ এপ্রিলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে মুজিবনগরের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আজকের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার যোগসূত্র রচিত হয়। বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলাদেশে একটি বৈধ সরকার গঠিত হয়েছে এবং সেই সরকারের নির্দেশনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার সংগ্রাম করছে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক ও টেলিযোগাযোগের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা টেলিগ্রাম ও ওয়ারলেসসহ টেলিযোগাযোগ যন্ত্র ব্যবহার করে যে সকল বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা জীবনের ঝুকি নিয়েও প্রেরণ করতে সহযোগীতা করেছেন তারা জাতীয় বীর। এসকল বীরদের যথাযথ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে উদ্যোগ গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্তি সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার মুশফিক মান্নান চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্তি সচিব মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাহাব উদ্দিন, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো: মহিউদ্দিন এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমানসহ বিভাগ ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইদা আফরোজ। বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক ও টেলিযোাগযোগের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তুলে ধরেন।