সূর্যোদয় থেকেই তেজোদীপ্ততা শুরু হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে মৌলভীবাজারের জনজীবনে। শুধু তাই নয়, রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন জেলার মানুষ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিকে প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
সরেজমিনে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট রোডের সিএনজিস্ট্যান্ড, রিস্কা স্ট্যান্ড, চা বাগান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গরমের মধ্যেও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা জীবিকার সন্ধানে যার যার পেশাগত কাজে ব্যস্ত।
রিকশাচালক আলম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি ট্রিপ দিয়েছি, প্রচণ্ড গরম আর রৌদ্রে যাত্রী নিয়ে দূরে কোথাও যেতে পারছি না। ঘামে পুরো শরীর ভিজে অবস্থা খারাপ, আর রোদের তাপ সহ্যের বাইরে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক দয়াল বুনার্জি বলেন, আজকে গরম বেশি। রোদ আর গরমে বাগানে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবুও পেটের ক্ষুধা নিবারণে কাজ করতে হচ্ছে। টমটম চালক অলি বলেন, গরম আর রোদে গলা-বুক শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘসময় ভ্যান চালাতে পারছি না।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে, শ্রীমঙ্গলেও দুয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ও তিনি জানান।