সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান আয়োজন বিব্রতক : ডিএমপি

সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান আয়োজন অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করা-সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান আয়োজন এবং অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক। উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে তা কখনো কাম্য নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে। তাই উদীচী নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ডিএমপির নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ডিএমপি বলছে, বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক পয়লা বৈশাখ উদযাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতিযাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে। আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা ও রুচিশীল ব্যক্তি। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ ভাতার’ ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You