ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাল্টা হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েল। তবে বৈঠকে ইরানকে জবাব দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েল কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা প্রকাশ করেনি ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বলা হচ্ছে, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানে পাল্টা হামলার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। তবে কখন এবং কীভাবে এ হামলা হবে তা নিয়ে বিভক্ত মতামত এসেছে। তাই পরিশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি ইরানের হামলার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইরানকে জবাব দিতে ইসরায়েল সামনের দিকে তাকাচ্ছেন। তারা সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করছেন। ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ করে ইরান যে এতগুলো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তার জবাব দেওয়া হবে।
যদিও ইসরায়েলের মিত্রশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় যোগ দেবে না। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যে তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক হামলায় যোগ দেবে না।
ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলা রাশিয়াও সংযত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, সংঘাত আরও বাড়লে তা ‘কারও স্বার্থের’ জন্য ভালো হবে না। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইসরায়েলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সোমবার বিকালে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্র জানান, তাদের জনগণকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলই নেবে।
এছাড়া ইসরায়েলের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রও দেশটিকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁন, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নলেনা বায়েরবক ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সোমবার ইসরায়েলের প্রতি ইরানের সঙ্গে সংঘাত বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা