
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকলেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাদক সেবীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই বিল্পব দাসের বিরুদ্ধে।
ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন
গত রবিবার রাত ৯ টার দিকে জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ায় কয়েকজন মিলে গাঁজা সেবন করছিল। এমন তথ্য পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই বিপ্লব দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ জনকে আটক করেন। পরে স্থানীয় এক নেতার সহযোগিতায় মোটা অংকের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সামাদ, আশাদুলের ছেলে মোস্তফা, মহিউদ্দিনের ছেলে মিলন ও পারকৃষ্টপুর গ্রামের শাওনসহ ৭-৮ জন জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার জনৈক মহুরার বাগানে বসে গাঁজা সেবন করছিল। এমন সময় দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই বিপ্লব দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেকে আটক করেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় চৌধুরী পাড়ায়। ৪ মাদক সেবীকে আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে এলাকার দরুদি নেতা পল্লি চিকিৎসক শফি উদ্দীন বসে যায় পুলিশের সাথে দর কষাকষিতে। প্রকাশ্যে দর কষাকষির এক পর্যায়ে সামাদের কাছ থেকে ৮ হাজার, শাওনের কাছ থেকে ৮ হাজার, মিলনের কাছ থেকে ৫ হাজার ও মোস্তফার কাছ থেকে ৫ হাজার সহ মোট ২৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই বিপ্লব দাস। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এসময় এক মাদকসেবী বলেন, এবার ঈদে আমি বাজার করতে পারিনি। শখের বসে একটান গাঁজা সেবন করতে গিয়ে গুনতে হলো হাজার টাকা। আমার বাবা-মা ধার করে টাকা দিয়েছে। এর চেয়ে ভালো হতো আমাকে মারধর করে কোর্টে চালান দিলে টাকা তো লাগতো না।
এএসআই বিপ্লব দাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ওসি স্যার জানেন, অতএব ফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বলতে চাই।’ পরে তিনি আর সরাসরি কথা বলেননি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, আমি এএসআই বিপ্লব দাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে অস্বীকার করেন। যদি টাকা নিয়ে থাকে তাদেরকে অভিযোগ করতে বলেন। এ ধরনের প্রমান মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।